আ,ন,ম তরিকুল ইসলাম
পরিচালক (যুগ্ম সচিব)
ক্রীড়া পরিদপ্তর
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
আ,ন,ম তরিকুল ইসলাম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২২ তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তিনি ২৯ জুলাই ১৯৭৫ সালে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলাধীন চাঁদখালী ইউনিয়নের ধামরাইল গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আমিনুল ইসলাম চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং মা সখিনা ইসলাম একজন গৃহিনী। তাঁর সহধর্মীনি মিসেস আন্জুন নাহার, সহকারী অধ্যাপক, ভালুকা চাঁদপুর আর্দশ ডিগ্রী কলেজ, সাতক্ষীরা হিসেবে কর্মরত। আশিক ও আয়ান নামে তাদের ২ জন পুত্র সন্তান রয়েছে।
শিক্ষা জীবন :
তিনি চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাইকগাছা, খুলনা থেকে এসএসসি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Accounting & Information System বিভাগ থেকে বি.কম (সম্মান) এম.কম ডিগ্রী অর্জন করেন। অত:পর তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে MBA ডিগ্রী অর্জন করেন।
কর্ম জীবন :
তিনি ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান পূর্বক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাংগামাটি পার্বত্য জেলায় সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মাঠ প্রশাসনের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি কর্মরত ছিলেন তার মধ্যে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা ( ডিআরআরও ), রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার অন্যতম। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মোল্লাহাট, বাগেরহাট, কলারোয়া, সাতক্ষীরা এবং দেবহাটা, সাতক্ষীরা তে দায়িত্ব পালন করেন।
* সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মকালীন সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারনী প্রবাহমান ইছামতি নদীর ভাঙন রোধকল্পের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে শিবনগর এলাকায় ইছামতির তীর ঘেষে যুগ যুগ ধরে অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জমি অবৈধ দখলমুক্ত করে প্রায় ৩২.৪৬ একর / ১০০ বিঘা জমিতে লবনাক্ততা সহনশীল বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা সারিবদ্ধভাবে রোপনের মাধ্যমে একেবারেই সুন্দরবনের আদলে মিনি সুন্দরবন খ্যাত " রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র " সৃষ্টি করেন, যেটি পরে জনপ্রশাসন পদকে ভূষিত হয়।
* তিনি সিনিয়র সহকারী সচিব এবং প্রেস অফিসার , ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ভুমি মন্ত্রণালয় হিসেবে কাজ করার সময় ভুমিতে Digitalisation শুরু করার নিমিত্তে ( ভুমি Digitalisation এর Pillar) RSK সিস্টেম তৈরি করতে একটানা প্রায় ৪ বছর ( উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত) কঠোর পরিশ্রম করে ভুমি Digitisation এ অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। অত:পর তিনি সচিব, ঢাকা ওয়াসা হিসেবে এবং উপসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।
* সবশেষে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কর্মকালীন সময়ে তিনি অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে ও ই-ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুকরণে -- স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ; রাজস্ব আহরণের ত্রুটিসমূহ চিহ্নিতকরণ ও সেগুলো বন্ধ করতে তড়িৎ ব্যবস্হা গ্রহণ করেন। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রাজস্ব বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম পরিচালনা সহ রাজস্ব আহরণের জন্য ব্যবহৃত টুলসসমুহের উপযুক্ত ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসির) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১ হাজার ৬২ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার ১০৩ টাকা-- যা ডিএনসিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
* তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখে পরিচালক (যুগ্ম সচিব), ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হিসেবে যোগদান করেন।
প্রশিক্ষণঃ
আ,ন,ম তরিকুল ইসলাম চাকরীজীবনে ৩৪ তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ৪৪ তম বিএমএ কোর্স, ১৪ তম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কোর্স, ৫৬ তম আইন ও প্রশাসন কোর্স , সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট ট্রেনিং, ১৪১ তম এসিএডি কোর্স সম্পন্ন করেন এবং তিনি আরও অনেক শর্ট প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। তিনি ভারতে ১৫ তম Mid Career Training for Field Administration, মালয়েশিয়ায় Capacity Building & Training to improve Student Assessment Server Operating, নেদারল্যান্ডে Participating in Partner Server Management Software & User level Hands,দক্ষিণ কোরিয়ায় Capacity Building & Training to improve Student Assessment in Bangladesh, ইংল্যান্ডে Best Practices for School Management post COVID-19 প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে থাইল্যান্ড, দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, বেলজিয়াম, ইতালী, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, জার্মানী, ফ্রান্স, ফিলিপাইন ও স্কটল্যান্ড ভ্রমণ করেন।
* তিনি একজন ক্রীড়াবিদ। তিনি ভালো ফুটবল, ভলিবল ও ক্রিকেট খেলতেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলিবল টীমের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। একজন ক্রীড়ানুরাগী হিসেবে তিনি পরিচিত।